সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরীতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার কারনে অসুস্থ বাদীকে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে মামলার এক নাম্বার আসামি পুলিশের এ এসআই মিজানুর রহমান ফারুক (৪৫) এর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার বেলা আনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিট সময় মামলার বাদী ওয়াসিম খান (৩০) শেই-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিটি স্কান করার জন্য রিক্সাযোগে নগরীর গীর্জা মহল্লায় অবস্থিত মেডিনোভা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।
এ সময় কোতয়ালী থানায় ওয়াসিম খানের দায়ের করা মামলার এক নাম্বর আসামি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ এসআই মিজানুর রহমান ফারুক ওঁৎ পেতে থেকে ভাটার খাল নামক স্থানে বসে রিক্সার গতিরোধ করে এলোপাথারি কিল ঘুসি মারে আহত করে ওয়াসিমকে। এ সময় ওয়াসিম নিজেকে রক্ষা করতে ডিসি কোডে আশ্রয় নেয়। পরে ওয়াসিম তার ছোট ভাই কামাল খানকে জানায়।
কামাল তার অপর ভাই জাকিরকে নিয়ে মিজানুর রহমান ফারুকে খুঁজতে থাকে। তখন মহাসিন মার্কেটের পিছনে কোতয়ালী থানার ফাড়ি সংলগ্ন তাকে দেখতে পায়। এসময় উভয় পক্ষই মার পিট করতে করতে পুলিশ ফারির ভিতর প্রবেস করে। এ সময় ঐ ফারির টি এস উভয় পক্ষকে আটক করে। পরে টি এস আই কোতয়ালী থানায় খবর দিলে এস আই কুদ্দুস মোল্লা ঘটনাস্থলে আসে।
এ সময় সে জানতে পারে নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের এ আর খান পুরি সড়ক এর বাসিন্দা রশিদ খানের প্রথম স্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান ফারুকের সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ৩৪১, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৪২৭, ৩৭৯, ৫০৬ ধারায় ছোট স্ত্রীর ছেলে ওয়াসিম খান একটি মামলা রুজু করে ।
যাহার মামলা নং-৩৩, তারিখ ১২-০৩-১৯। অপর দিকে মামলার বাদী ওসীস ও তার ওই দুই ভাই জাকির খান ও কামাল খানের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় টুনু পালোয়ান নামের এক ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের করেছে। যাহার মামলা নং-৩৫, তারিখ ১২-০৩-১৯।
উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারনে এসআই আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা ও এ এসআই আশুতোষ সরদার ঐ চারজকে কোতয়ালী থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের ঘটনার দিনই আদালতে প্রেরন করে। উল্লেখ্য , নগরীর ২২নং ওয়ার্ডে বাসিন্ধা মিজানুর রহমান রশিদ খানের দুই পুত্র পুলিশের এএসআই মিজানুর রহমান ফারুক ও এড্যভোকেট ( শিক্ষানবিশ) মহাসিন খান বশার ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরা ক্ষমতার দাপোটে তোয়াক্কা করে না কাউকেই।
গত সোমবার রাত ৭ টায় নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের এ আর খানপুড়ি বাড়ির সামনে রশিদ খানেই ছোট স্ত্রী’র ৫ সন্তান আব্দুল রহমান খান রিপন (৪০), ওয়াসিম খান (৩০), রিপা আক্তার (২৮), জামাল খান (২২), কামাল খান (২২) পিটিয়ে আহত করে রশিদ খানের প্রথম স্ত্রীর ওই দুই সন্তান ।
তারা হলো আইনজীবীর শিক্ষানবিশ ও ২২ নং ওয়ার্ডে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহাসিন খান বাশার এবং তৎকালীন আ’লীগের নেত্রী সাজেদা চৌধুরির মিছিলে গোলাগুলি করার অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে ০৩/০৩/ ২০০৩ সালে ফরিদপুর ৪ আসনের এমপি মোকাব্বির আহম্মেদ বিএনপির সুপারিশে চাকরি ফিরে পাওয়া পুলিশের এ এসআই মিজানুর রহমান ফারুক। তারা বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় আলীগের সমর্থিত প্রার্থী এ্যডভোকেট মাহবুর রহমান মধু’র তালা মার্কার প্রচারণায় যেতে বাঁধা প্রদান করাকে কেন্দ্র করে ঐ ৫ জনকে ফারুক ও বাশার স্থানীয় ভারাটিয়া মাস্তান রুবেল মৃধা, শহিদ খান,
তারিকুল ইসলাম সহিদ, সুমন খানসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে নিয়ে হকস্টিক, রড ও লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাথারি ওই সৎ ভাই-বোনদের পিটিয়ে আহত করে। এ সময় ওয়াসিমের হিরো কোম্পানির একটি হাং মটর সাইকেল পিটিয়ে ভাংচুর করে নগত টাকা পয়সা নিয়ে যায়। এবং সন্ত্রাসীরা রিপা আক্তারের শীলতাহানী ঘটায়। পরে হামলাকারী ফারুক ও বাশারের আপন ছোট ভাই সাগর হোসেন মিলন ও বাবা রশিদ খান আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল কলেজ ভর্তি করেন।
এ ঘটনা ফারুক ও বাশারের বাবা ও ছোট ভাই সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের পরিবারে ভিতর ২২ জন সদস্য। এদের মধ্যে ফারুক ও বাশার বেপরোয়া। তারা কাউকে পরোয়া করে না। এ ঘটনায় ওয়াসিম থানায় একটি মামলা রুজু করে। এরি জের ধরে গতকাল বুধবার ওই পুলিশের এ এসআই মিজানুর রহমান ফারুক এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
Leave a Reply